আজ বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
«» শিবগঞ্জের কালীগঞ্জ সীমান্তে উত্তেজনা, বিএসএফ এর দুঃখ প্রকাশ «» শিবগঞ্জে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের উদ্বোধন করলেন ইউএনও «» দুর্লভপুর ইউনিয়নের টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ «» দুর্লভপুর ইউনিয়নের টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ «» শিবগঞ্জে শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত «» শান্তি নিবিড় পাঠাগার পরিদর্শন করলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস «» জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি সম্মেলন উপলক্ষে শিবগঞ্জে কেন্দ্রীয় দাওয়াতি মিশন অনুষ্ঠিত «» শিবগঞ্জে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান «» চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘প্রতিদিনের চাঁপাই’ অনলাইন পত্রিকার শুভ উদ্বোধন «» শিবগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সাদিকুল ইসলামের ১০ হাজার কম্বল বিতরণ

প্রকৃতির গায়ে হলুদের সমাহার

শামশুজ্জোহা বিদ্যুৎ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে : পৌষের প্রায় শেষ লগ্নে শিবগঞ্জ অঞ্চলের মাঠ-ঘাট সেজে উঠেছে অপরূপ সাজে।যেন সরষে ফুলে চোখ ধাঁধানো হলুদ সাম্রাজ্য।মনে হচ্ছে যেন এখন প্রকৃতির গায়ে হলুদ।প্রকৃত যেন অঙ্গে হলুদ রঙের শাড়ী পড়েছে।মাঠ-ঘাট প্রান্তরে শুধুই এখন হলুদের ছড়াছড়ি। সরষে ফুলের উপর খেলায় মাতোয়ারা বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছি,ভ্রমর,ফড়িং,প্রজাপতিসহ নানা কিট-পতঙ্গ।সরষে ফুলের হলদে রঙ কয়েক’শ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে প্রকৃতির শোভা।হলুদ ফুলে যখন হাওয়া লাগে তখন ফুলগুলো মাতাল করা দোল দিয়ে হলুদ তরঙ্গের জোয়ারে প্লাবিত করে প্রকৃতি প্রেমীদের হ্রদয়।ঋতুবৈচিএ্যের সঙ্গে সঙ্গে রূপ বদল হয় প্রকৃতিরও।এখন শীতকাল।সরষে ফুলের মৌসুম।এই যেন প্রকৃতির স্বর্গীয় আরেক রূপ।এই সময়ে প্রকৃতি পানে চোখ মেলে যদি কেউ একবার তাকায় সে প্রকৃতির প্রেমে পড়তে বাধ্য।প্রান্তর জুড়ে উষ্ণ হলুদ ফুলের তোড়া নিয়ে যেন প্রকৃতি আপনারই অপেক্ষায়।প্রকৃতি প্রেমীদের প্রাণ আকৃষ্ট করে নেয় দৃশ্য ও মুগ্ধতায়।প্রকৃতি প্রেমীদের ভালবাসর মাএা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দেয়।কুয়াশা ভেজা হাড় কাপানো শীতের সকাল কিংবা বিকেল বেলায় হলুদ ফুলের ডগায় ডগায় এবং পাপড়িজুড়ে ছোট ছোট শিশির কণাগুলো দেখতে অবিকল মুক্তোর মত লাগে।তখন প্রকৃতি আরো আকৃষ্ট ও মুগ্ধ করে কাছে টানে প্রকৃতি প্রেমীদের।শিবগঞ্জের মাঠে মাঠে হলুদ অভা ছড়িয়েছে সরিষা ক্ষেতগুলো।ক্রমেই আগুন লাগা হলুদ রঙ অপরূপ হয়ে উঠেছে প্রকৃতি।শীতের রিক্ততায় সরষে ফুল হলুদ রঙ যেন প্রাণের স্পন্দন নিয়ে আসে।শীতে সরষে ক্ষেত গ্রাম-বাংলার রুপকে আরও বেশী অপরূপ করে তোলে।সরেজমিনে উপজেলার হাঙ্গামীসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,এই এলাকার বেশিরভাগ শস্য খেতেই এখন সরিষর চাষ হচ্ছে। সরিষা গাছের হলুদ ফুলে উড়ে বেড়াতে শুরু করেছে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি।শিবগঞ্জের কৃষকরা বলেন,ধান ও সবজির পাশাপাশি এখন প্রতি মৌসুমে সরিষা চাষ করি।এতে ভালোই লাভ হচ্ছে। তাদের ভাষ্যমতে,এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হয়।ফলন ভাল হলে বিঘাপ্রতি চার থেকে পাঁচ মণ সরিষা উৎপাদন সম্ভব।আর প্রতি মণ সরিষার মূল্য দেড় থেকে দুই হাজার টাকা।মূলতঃসরিষা একটি তৈল বীজ জাতীয় অর্থকরী ফসল।কৃষকরা নিজের চাহিদা মিটিয়ে অবশিষ্ট ফসল বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে।সাধারণত বছরের নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়।সরষের ঝড়ে পড়া পাতা ও ফুল থেকে জৈব সার হিসাবে কাজ করে ।

আপনার মতামত দিন :
সংবাদটি শেয়ার করুন :